কীওয়ার্ড রিসার্চ হচ্ছে যেকোনো ধরনের সার্চ ইঞ্জিন বেজড অনলাইন মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বর্পূণ বিষয়। আর কেন জানি আমরা বাঙালিরা এই বিষয়টাতেই সবচেয়ে বেশি ঢিলেমি দেই।
যার ফলশ্রুতিতে এক সময় গিয়ে যখন দেখি দিনের পর দিন চলে যায়, মাসের পর মাস চলে যায় কিন্তু গুগল মামু আর রাংক দেয় না; তখনই অনেকে প্রচন্ড হতাশ হয়ে পড়েন।
একটা জিনিস মাথায় রাখবেন সব সময়। কীওয়ার্ড হচ্ছে একন একটি একটি বাক্য বা কয়েকটি শব্দ সমষ্টি যেটা সার্চ করেই ভিজিটর আপনার সাইটে আসবে।
আপনার সাইটের অনপেজ থেকে শুরু করে অফ পেজ পর্যন্ত সব জায়গাতেই আপনি এই কীওয়ার্ডটি ব্যবহার করবেন।
তাই যদি আপনার প্রজেক্টের বা প্ল্যানের সেই গোড়াতেই গলদ হয়ে থাকে তাহলে দু’দিন পরে সব টাকা পয়সা লস করে মাথায় দিয়ে বসে থাকতে আপনার বা আমার কারোরই খুব একটা সময় লাগবে না।
কি কি কাজ করা যাবে না কীওয়ার্ড রিসার্চের সময়:
১। ভুলেও তাড়াহুড়ো করা যাবে না। আপনি ধরেই নিবেন যে আপনার কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে ৭ দিন সময় লাগবে।
২। সব সময় টুলসের উপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না। আমাদের মধ্যে অনেকেই Ahrefs বা Semrush এর ডাটাকে ভগবান মানেন। বিষয়টি এমন যে ওরা কোনোমতেই ভুল করতে পারে না।
কেউ কেউ তো আবার Ahrefs বা Semrush কে গুগলের উপরেও স্থান দিয়ে বসিয়ে রাখেন। Ahrefs বা Semrush এ দেখিয়েছে এই সাইটের এতোগুলি ব্যাকলিংক আছে, তারমানে এতগুলিই আছে এরকম ধারনা মাথা থেকে ঝেটেঁ ফেলে দিতে হবে।
৩। শুরুতেই হাই সার্চ ভলিউমের কীওয়ার্ড দিয়ে কাজ শুরু না করা; কম্পিটিশন কম থাকলেও।
৪। ”Dog NIche টা অনেক হাই কম্পিটিটিভ, এটা নিয়ে কাজ করা যাবে না” – এমন ধারনা রাখা যাবে না। পৃথিবীতে এখনও পর্যন্ত প্রত্যেকটি নিশের জন্য অবশ্যই লো কম্পিটিটিভ কীওয়ার্ড আছে।
তার কারন এই পৃথিবীতে এখনও মানুষ বেচেঁ আছে। আর এই ৭০০ কোটি মানুষের চিন্তা ধারা ৭০০ ধরনের। আপনি হয়ত ৫০০ মানুষ যে ধরনের চিন্তা ভাবনা নিয়ে গুগলে সার্চ করে সেগুলো টার্গেট না করে অন্তত ৫০ জন যে বিষয়গুলো নিয়ে গুগলে সার্চ করে সেগুলি নিয়ে কাজ করুন।
ওই ৫০ সার্চ ভলিউমের কীওয়ার্ডে রাংক করলেও আপনার কিছু না কিছু লাভ হবে। এরকম ১০টা কীওয়ার্ডে রাংক করলেও মাসে ২/৩’শ সার্চ ট্রাফিক আপনি এমনিই পাবেন।
৫। একই সাথে কীওয়ার্ড সিলেকশন ও কম্পিটিশন অ্যানালাইসিস না করা।
চলবে …………………